আ ন ম সানাউল্লাহ-চট্টগ্রাম : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চার আসনের দলীয় মনোনয়ন নিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি সোলায়মান আলম শেঠ । গতকাল সোমবার (২০নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় পাটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তিনি মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন।
জাতীয় পাটির দলীয় সূত্রে জানা যায়,সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পাটির প্রার্থী হতে চট্টগ্রাম ৮,১০,১১ এবং খাগড়াছড়ি আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছে সোলায়মান আলম শেঠ ।চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির দলটির নগর নেতৃত্ব রয়েছে সোলায়মান আলম শেঠের হাতে। এবারের আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে (আসন নং: ২৯৮) পার্বত্য খাগড়াছড়ি আসনের পাশাপাশি চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও- বোয়ালখালী),চট্টগ্রাম ১০(ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, হালিশহর),১১ (বন্দরপতেঙ্গা) এই চার আসন থেকে সোলায়মান আলম শেঠ নির্বাচনে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন বলে জানান তারা । সেই লক্ষ্যে এই আসনগুলার প্রতিটি এলাকায় এবং পাড়া মহল্লায় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা ঘর গুছাতে শুরু করেছেন।
জাতীয় পার্টি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া এবং কোন দলের সাথে জোট বাধবে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে সোলায়মান আলম শেঠ বাংলাদেশের খবরকে বলেন,জাতীয় পার্টির অবস্থান সুস্পষ্ট। যা আমাদের নেতৃবৃন্দ বার বার বলেছেন সেটি হলো, অবাধ, প্রভাবমুক্ত এবং দেশের জনগণের অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন। জাতীয় পার্টি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নিজেদের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে আর কাউকে ক্ষমতায় বসাতে নয় বরং নিজেদের জনপ্রিয়তায় ভর করে নিজেদের শক্তিতে, নিজেদের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে অংশ নেবে এবং সারা দেশে ৩০০টি আসনে নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি।
তিনি আরো বলেন,আমি চট্টগ্রাম -৮,১০,১১ এর পাশাপাশি খাগড়াছড়ি আসন থেকে আগামীতেও আমি নির্বাচন করবো। ইতোমধ্যে দলের নীতিনির্ধারকদের সাথেও কথা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আসন্ন নির্বাচনে আমি খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম-১১ আসন থেকে নির্বাচন করার বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি। যদি সকলের অংশগ্রহণ মূলক ভোট হয় তাহলে আমার বিশ্বাস আসন্ন নির্বাচনে এই দুই আসন আমি জাতীয় পার্টিকে তথা চট্টগ্রামবাসীকে উপহার দিতে পারবো। আমরা বংশপরম্পরায় মানুষের সেবা করা বংশগত ঐতিহ্য ও অভ্যাস মানুষের সেবা না করে আমরা থাকতে পারি না। আমার পূর্বপুরুষ মানুষের সেবা করেছে আমি এবং আমরা করে যাচ্ছি। সংসদ সদস্য হলে মানুষের সেবা করা আরো একটু সহজ হবে এবং সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যেতে পারবো।
আগামী ৭ জানুয়ারি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ নির্দিষ্ট হওয়াতে চট্টগ্রাম ৮,১০,১১ এবং খাগড়াছড়ি আসন গুলোতে নির্বাচন নিয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে আগ্রহের কমতি নেই।আওয়ামীলীগ থেকে আসন গুলোতে বিভিন্ন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহনের নাম কানাঘোষা করা হলে ও এখনো কোন কোন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তা চুড়ান্ত হয়নি।
অনেকেই বলেন ,দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিত করার জন্য জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হচ্ছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি এবং চট্টগ্রামে যে কয়েকজন বিত্তবান ব্যবসায়ী রয়েছে তাদের মধ্যে শীর্ষে অবস্থানকারী সোলায়মান আলম শেঠ। তিনি প্রার্থী হওয়া মানে বড় দলের প্রার্থীর জয়লাভ করা সম্ভাবনা ৫০%। সোলায়মান আলম শেঠ একজন রাজনীতিবিদ ও শুধু ব্যবসায়ীর মধ্যে সীমাবদ্ধ না।তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, অসহায় মানুষের বাড়ি ঘর তৈরি, গরিব মেধাবী ও অন্যান্যদের চাকরির ব্যবস্থা ও অসহায় মেয়েদের বিবাহ দেওয়া থেকে শুরু করে প্রত্যেক স্তরে সহযোগিতার হাত বাড়ান।
করোনা কালীন সময়ে অসহায় মানুষদের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন তা বলার মত না।বিভিন্ন সময়ে গরীব অসহায় মানুষের মাঝে গোপনে দানের হাত বাড়ীয়ে দেন বলে সোলায়মান আলম শেঠকে অনেকে দানবীর হিসেবেই চিনেন। এক কথায় মানবিক কাজ করে চট্টগ্রামে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা ব্যক্তির নাম সোলাইমান আলম শেঠ। সুতরাং তিনি প্রার্থী হওয়া মানেই সাধারণ ও অসহায় মানুষ তাকে ভোট দেওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়বেন কোন অবস্থাতেই তাকে আটকানো সম্ভব নয় বড় দল প্রার্থীর। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তিনি ৭০% ভোট পাবে ।
উচাইনু মারমা নামের খাগড়াছড়ি এলাকার এক ভোটার বাংলাদেশের খবরকে বলেন,এখন নিত্যপণ্য থেকে সব কিছু মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে তাই আমি মনে করি পরিবর্তন দরকার। বর্তমান পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামেরে আসন গুলার এবং খাগড়াছড়ি আসনের জনগন একজন মুরব্বী এবং এলাকার মানুষদের উপর টান আছে এমন ব্যক্তিকে ভোট দিবেন।আর এজন্য আমাদের কাছে মনে হয় সোলায়মান আলম শেঠ একজন ভালো মনের মানুষ ও এলাকার মানুষের ভোট পাওয়ার একমাত্র প্রযোজ্য।
ইতোমধ্যে আসন গুলাতেও সোলায়মান আলম শেঠের ব্যাপারে ইতিবাচক ব্যাপক সাড়া দেখা যাচ্ছে, অনেকেই বলেন আমরা দল দেখে ভোট দিবো না, মানুষ দেখেই ভোট দিবো। উনাকে আমরা প্রথম থেকেই দেখে আসছি, কোন ধরনের বিতর্কের মাঝে তার নাম শোনা যায়নি।এইবার না হয় এই আসন গুলাতে আওয়ামীলীগ বিএনপির বাইরে কেউ আসুক,সুষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে সঠিক নির্বাচন হোক এটা আমাদের দায়িত্ব¡।স্থানীয় অনেকেই বলেন পরিবর্তনটা শেঠের মাধ্যমে হোক।