চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম শহরের আকবর শাহ, পাহাড়তলী একাংশ আর সীতাকুন্ড উপজেলা নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৪ সংসদীয় আসন। প্রায় তিনশ শিল্প কারখানা থাকায় আসনটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া সংসদীয় নির্বাচনে ১৯৭০ সাল থেকে এই আসনে যে দলের প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছে, সেই দলই সরকার গঠন করেছে। এতে আসনটিতে থাকে বাড়তি নজর।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরেও চট্টগ্রাম-৪ আসনে শুরু হয়েছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাপ। নানাভাবে এসব প্রার্থী ভোটার ও রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।এবার নির্বাচন ঘিরে নানা আলোচনা চলছে সাধারণের ভেতর। ২০১৩-১৪ সালে নানা নাশকতা আর ভাঙ্গচুরে দেশব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রে থাকা এই এলাকার মানুষের প্রত্যাশা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমেই জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের সুযোগ পাবে তাঁরা। এক্ষেত্রে এলাকার উন্নয়নে ব্যক্তিগত ক্যারিশমাই গুরুত্ব পাবে বলে মনে করছে ভোটাররা।
এই দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী চসিকের ১০ নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৫ বারের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র, সাবেক প্যানেল মেয়র, বৃহত্তর চট্টগ্রাম ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির সভাপতি, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।
চট্টগ্রাম ৪ সংসদীয় আসন এলাকার নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বাংলাদেশের খবরকে বলেন , আমার শিক্ষা দীক্ষা এবং ৩৪ বছরের আওয়ামীলীগের বনাঢ্য রাজনীতি,তৃণমূল নেতা কর্মীদের সাথে সম্পর্ক সব কিছুর বাছ/বিচারে সর্ব যোগ্যতায় আমার বিশ্বাস মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মূল্যয়ন করবেন। যেহেতু আমি চট্টগ্রাম ৪ সংসদীয় আসন এলাকার -সন্তান সেহেতু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চাইবার অধিকার আমার আছে। তাই আমি চট্টগ্রাম -৪ সীতাকুণ্ড সংসদীয় আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি এবং এটা আমার রাজনৈতিক আদর্শিক অধিকার। আমি সাবেক সিটি মেয়র চট্টলবীর জননেতা আলহাজ্ব মহিউদ্দিন চৌধুরীর সময় থেকে শুরু করে সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মঞ্জুরুল আলম, সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা আজম নাছির উদ্দিন ও বর্তমান মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রেজাউল করিমের সময়ে অদ্যাবধী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১০ নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড থেকে বারবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছি। পাশাপাশি তাদের সবার সাথে রাজনীতি করেছি। চট্টগ্রাম ও সীতাকুণ্ড সংসদীয় আসনের বারবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবুল কাসেম এমপি মহোদয়ের সাথে সীতাকুণ্ডের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়িয়েছি। সেদিক থেকে বলার কোন অপেক্ষা রাখেনা যে আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এই জনপদে নতুন না পুরাতন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম -৪ সংসদীয় আসনে সংসদ সদস্য পদে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশার সংবাদ প্রকাশের পর থেকে অনেকের গায়ে জ্বালা শুরু হয়েছে।
আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, मानনীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম -৪ সংসদীয় আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে সংসদ সদস্য পদে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিলে এবং মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে আমার এলাকার সর্বস্তরের মানুষের ভাগ্য আমি বদলে দেবো। আর নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন আমি যদি না পাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যার হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দেবেন নৌকার বিজয়ে আমি আমার সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করবো। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস একটা না একটা জায়গায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মূল্যায়ন করবেন।
আকবর শাহ ও পাহাড়তলী এই দুই থানা এলাকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এবং ভোটারদের অভিমত, শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রজ্ঞা রাজনৈতিক দক্ষতা ও দূরদর্শীতা, ন্যায়পরায়নতা, বিচক্ষণতা, সাংস্কৃতিক, সাংগঠনিক, সামাজিক এবং ক্রীড়া সংগঠক এবং আওয়ামী রাজনৈতিক নেতা হিসাবে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু এগিয়ে ।
এব্যাপারে আকবর শাহ থানা আওয়ামী লীগের নেতারা বাংলাদেশের খবরকে বলেন, সৎ, পরিচ্ছন্ন, ন্যায় বিচারক, মানবিক গুন সম্পন্ন মানুষ, গরিব দুঃখী ও সর্বস্তরের মানুষের আস্থা ও নির্ভর তার প্রতীক জননেতা ড. নিছার উদ্দিন আহমেদকে চাট্টগ্রাম ৪ সংসদীয় আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদ সদস্য পদে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিলে নৌকা বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হবে এবং আসনটির জনগণের ভাগ্য বদলে যাবে এবং আশীর্বাদ বয়ে আনবে।তাছাড়া তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা, রাজনৈতিক দক্ষতা দূর দর্শিতা এবং সার্বিক দিক থেকে প্রার্থী হিসাবে সবার চেয়ে এগিয়ে।