1. admin@nagoriknewsbd.com : admin :
  2. admin@hasibitsolution.com : Hasib :
  3. info.popularhostbd@gmail.com : PopularHostBD :
  4. user@nagoriknewsbd.com : user :
রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে যা যা দরকার সবই করা হবে: নির্বাচন কমিশনার চট্টগ্রাম বোর্ডে এইচ এস সি পরীক্ষায় পাশের হার ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ বিআরটিসির কেনা ৫০০ ট্রাক ৩ বছরে অকেজো! খুলনাঞ্চলের প্রধানসহ নিষিদ্ধ সংগঠনের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার নৌকার টিকেট পেলেন যারা চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা বি-ব্লক বালির মাঠ প্রাঙ্গনে জার্সি বিতরণ চট্টগ্রামের  ৪টি আসনে জাতীয়  পার্টির   মনোয়ন চান – সোলায়মান আলম শেঠ সর্ববিচারের  যোগ্যতায় আমার  বিশ্বাস মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মূল্যয়ন করবেন-ড.নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখন আসা যাওয়া হবে ও কত ট্রেন ভাড়া হবে ঢাকা কক্সবাজার রোড়ে

কর্ণফুলী ব্রিজঘাটে তেলচোর বিচ্ছু জামালের অবাধ রাজত্ব,তার ভাতিজা রুবেল দিলো সাংবাদিককে হুমকি

Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৩২৪ বার পড়া হয়েছে
কর্ণফুলী ব্রিজঘাটে তেলচোর বিচ্ছু জামালের অবাধ রাজত্ব

 নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে হাজার হাজার লিটার জ্বালানি তেল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) তেলবাহী জাহাজসহ বড় জাহাজগুলো থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে রাতের আঁধারে। আর ওই জ্বালানি তেল চুরির সাথে কর্ণফুলী থানার ব্রিজঘাট এলাকার হাজী জামাল প্রকাশ বিচ্ছু জামাল জড়িত বলে খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া ডিপো কর্মকর্তা ও জাহাজের লোকজন এই তেল চুরির সাথে জড়িত। বছরের পর বছর ধরে এই চোরা তেলের কারবার চললেও কোনো প্রতিকার বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই কর্ণফুলীর নদীর বুকে নোঙ্গর করা তেলের জাহাজ ও পদ্মা, মেঘনা, যমুনা অয়েল কোম্পানির ডিপো থেকে চোরাকারবারিদের গভীর রাত পর্যন্ত তেল চুরির মহোৎসব চলে। তেল চোরাকারবারি বিচ্ছু জামাল তার সিন্ডিকেটের লোকজন দিয়ে নদীর দুই পাড়ে অনেকগুলো অবৈধ তেলের দোকান গড়ে তুলেছে। ওসব চোরাই তেল দোকান হয়ে পাইকারি ও খুচরা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যায়।

 কর্ণফুলী ব্রিজঘাটে তেলচোর বিচ্ছু জামালের অবাধ রাজত্ব-ছবি বিচ্ছু জামাল

ছোট ছোট দোকান, অয়েল ফিলিং স্টেশন, গাড়ির গ্যারেজ, বড় শিল্পকারখানাসহ বিভিন্ন জায়গাতেই ওই চোরাই তেল যায়। যার কারণে বিপিসি সারাবছর লোকসান গুনে বলে মন্তব্য করেছেন বিপিসি সংশ্লিষ্ট সূত্র। সরেজমিনে ব্রিজঘাটা এলাকায় জামালের চোরা তেলের ডিপোতে গিয়ে দেখা যায়, সাগরে থাকা বড় বড় জাহাজ মাদার ভেসেল থেকে বন্দরের ছোট ছোট জাহাজ, গোমতি, কান্ডারী, জরিপ, আলী, ঝর্ণা থেকে রাতের গভিরে প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার তেল চুরি হয়। যা তার ডিপুতে মজুদ রেখে ট্রাক যোগে পাচার করছে।

       বিচ্ছু জামালের ভাতিজা রুবেল

তার ঐ ডিপুতে নেই কোন অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা, নেই কোন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে রাতের আধাঁরে প্রশাসন ও স্থানীয় নেতাদের ম্যানেস করে এই কারবার করছেন বিচ্ছু জামাল। সুত্র জানায়, রাতের আধারে পুরাতন ব্রীজঘাট, চরপাথরঘাটা সাম্পান-মাঝি সমিতির ঘাট দিয়ে হাজার হাজার লিটার তেল চুরি করে জামাল তার অবৈধ ডিপুতে মজুদ করে তা ভোরে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে দেয়। যাতে সকাল হতে না হতেই কেউও চোরা তেল এমনটা যাতে বুঝতে না পারে। জামালের এই অপকর্মে কেউ মুখ খোলার সাহস করে না। তার এই ক্ষমতার পেছনে ইন্ধন যোগাচ্ছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী নেতা ও প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা। তাদের যোগসাজশে ও আশ্রয় প্রশ্রয়ে তেল চুরি হচ্ছে বন্দর, কর্ণফুলীর জুলধা, ডাঙ্গারচর, শিকলবাহা সহ অনেক ঘাটে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, চোরাকারবারি বিচ্ছু জামালসহ বেশির ভাগ তেল চোরের বাড়ি চট্টগ্রাম বন্দর ও কর্ণফুলী এলাকায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব তেল চোরাকারবারীদের সবচেয়ে বড় আস্তানা রয়েছে জুলধা ইউনিয়নের ডাঙ্গারচর ৯ নং ঘাট ও পুরাতন ব্রিজ ঘাটের সাম্পান মাঝি সমিতি ঘাটে। বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানী পদ্মা, মেঘনা, যমুনার তেলের পাইপ ছিদ্র করে প্রতিদিন রাতে বিপুল পরিমাণ তেল চুরি করে সেখানে মজুদ করা হয়। এদিকে বিপিসি সংশ্লিষ্টরা জানান, কর্ণফুলীর পাড়ে নামে-বেনামে জ্বালানি তেল সরবরাহ ও ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান খুঁজে পেয়েছে বিপিসির তদন্ত দল।

কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অবৈধ তেলের দোকান উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে এখনো ওসব অবৈধ দোকানপাটগুলো উচ্ছেদ হয়নি। বরং বহাল-তবিয়তেই তারা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এমনকি তদন্তে যেসব চোরাকারবারির নাম এসেছে তারা এবং তাদের অনুসারীরা ডিপো এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জানা যায়, রাতে মাদক ও তেল পাচারের সহায়ক নৌ-যান হিসেবে বিচ্ছু জামালের রয়েছে নিজস্ব নৌকা আর স্পীডবোট। এসব অপকমের্র মূল সহায়তাকারী হিসেবে উল্লেখিত জাহাজ ও ডিপোর এক শ্রেণির কর্মকর্তা এবং জাহাজের কতিপয় কর্মচারীর যোগসাজশে নিয়মিত তেল চুরি হচ্ছে। আর চুরি করা তেলে ওই এলাকায় গড়ে উঠেছে তেলের কালোবাজারি ব্যবসা। বিচ্ছু জামালের ভাতিজা জামাল হোসেন প্রকাশ রুবেল তার এই ব্যবসার দেখভাল করেন।

স্থানীয়রা জানান, বিচ্ছু জামাল একসময় ছিলেন সামান্য সাম্পান মাঝি। চোখের সামনে সে এখন চুরি করা তেল বিক্রি করে বনে গেছেন কোটি কোটি টাকার অর্থ বিত্তের মালিক। ব্রিজঘাট এলাকায় করেছেন তিন তলা বাড়ি। এদিকে প্রশাসনের পাশাপাশি পটিয়া ও কর্ণফুলীর কিছু আঞ্চলিক পত্রিকার বির্তকিত গণমাধ্যমকর্মীর পকেটেও মাসিক মাসোহারা দেন বিচ্ছু জামাল। বিষয়টি তার ভাতিজা রুবেল স্বীকারও করেন। এ বিষয়ে বিচ্ছু জামালের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি আগে তেল চুরি করতাম, এখন করি না। কারণ সব জাহাজে এখন সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো। তেল চুরির কোন সুযোগ নেই। আপনাকে কেউ ভুল তথ্য দিয়েছে। এ বিষয়ে আপনি আমার ভাতিজা রুবেলের সাথে কথা বলেন।

   প্রতিবেদকে ফোন করে হুমকিদাতা      বিচ্চু জামালের ভাতিজা  রুবেল

পরে তার ভাতিজা রুবেল এ প্রতিবেদকে ফোন করে হুমকি দিয়ে বলেন, আপনি আমাদের মানহানি করছেন। আপনার নামে মামলা করবো। আমরা তেল চুরি করি এতে আপনার কি সমস্যা! এ বিষয়ে প্রশাসন জানে, আপনার নিউজ করতে ইচ্ছে হলে নিউজ করে দেন, পারলে র্যাব নিয়ে এসে আমায় ধরিয়ে দেন! এবং প্রতিবেদকে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে লাইন কেটে দেয়। এ প্রসঙ্গে জানতে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনসারি বলেন, চোরাই তেলের এসব সিন্ডিকেটের জন্য প্রতিবছর সরকার কোটি কোটি টাকার লস দিচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট এসব চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়া প্রয়োজন।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved
Design BY POPULAR HOST BD