1. admin@nagoriknewsbd.com : admin :
  2. admin@hasibitsolution.com : Hasib :
  3. info.popularhostbd@gmail.com : PopularHostBD :
  4. user@nagoriknewsbd.com : user :
রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে যা যা দরকার সবই করা হবে: নির্বাচন কমিশনার চট্টগ্রাম বোর্ডে এইচ এস সি পরীক্ষায় পাশের হার ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ বিআরটিসির কেনা ৫০০ ট্রাক ৩ বছরে অকেজো! খুলনাঞ্চলের প্রধানসহ নিষিদ্ধ সংগঠনের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার নৌকার টিকেট পেলেন যারা চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা বি-ব্লক বালির মাঠ প্রাঙ্গনে জার্সি বিতরণ চট্টগ্রামের  ৪টি আসনে জাতীয়  পার্টির   মনোয়ন চান – সোলায়মান আলম শেঠ সর্ববিচারের  যোগ্যতায় আমার  বিশ্বাস মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মূল্যয়ন করবেন-ড.নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখন আসা যাওয়া হবে ও কত ট্রেন ভাড়া হবে ঢাকা কক্সবাজার রোড়ে

মাস যায় বছর যায়, মেয়াদ শেষ হয় না শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তাদের!

Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৩৩৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের মূল পদ সরকারি কলেজ। তবে কলেজে না পড়িয়ে বহু শিক্ষক তদবির করে শিক্ষাবোর্ডে প্রেষণে গিয়ে আর ফিরতে চান না নিজ পেশায়। তারা বছরের পর বছর বোর্ডের পদ আঁকড়ে থেকে জড়িয়ে পড়ছেন দুর্নীতিতে। বোর্ডের প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় কোটি কোটি টাকার কেনাকাটার নামে হাতিয়ে নিচ্ছেন বিপুল অর্থ। পরীক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে শিক্ষাবোর্ডগুলো। দুর্নীতির এ দুষ্টচক্র থেকে মুক্ত নয় চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডও।

তবে শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দূরের কথা প্রেষণ বাতিল পর্যন্ত করছে না। অথচ ২০১৭ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তিন বছরের বেশি এবং চাকরি জীবনে দুই বারের বেশি কোনো শিক্ষক প্রশাসনিক পদে থাকতে পারবেন না।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রাম বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. জাহেদুল হক ২০১৮ সালের ৮ মার্চ থেকে বোর্ডে কর্মরত। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ ২০১৮ সালের ২১ মে থেকে কর্মরত। তিনি এর আগে বোর্ডের উপ-পরিচালক (হিসাব ও নিরীক্ষা) পদে ছিলেন। বোর্ডের উপ-সচিব মো. বেলাল হোসেন ২০১৯ সালের ১৮ আগস্ট জ্যেষ্ঠতা লংঘন করে এই পদে যোগ দেন এবং এখনো স্বপদে বহাল আছেন। যেটি নিয়ে সে সময় বোর্ডের ভেতরেই কানাঘুষা শুরু হয়। উপ-কলেজ পরিদর্শক মোহাম্মদ হালিম ২০১০ সালের ১৪ মার্চ থেকে কর্মরত। সহকারী সচিব সম্পাতা তালুকদার ২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে একই পদে কর্মরত। অডিট অফিসার মৃণাল চন্দনাথ ২০০৯ সালের ২৬ জুলাই থেকে বোর্ডে কর্মরত। হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা প্রফেসর আবুল কালাম মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ২০০৯ সালের ২০ এপ্রিল থেকে কর্মরত।
জানা গেছে, সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মূলত নিয়ন্ত্রণ করে শিক্ষা বোর্ডগুলো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি, পাঠদানের অনুমতি, একাডেমিক স্বীকৃতি, অতিরিক্ত শ্রেণি শাখা, বিভাগ ও বিষয় খোলা, আসন বৃদ্ধি বোর্ডের দায়িত্ব। বোর্ডের কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বোর্ডের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অনুমোদন দেন। তবে বোর্ডের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়। এ কাজে বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মোটা অংঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ বছর নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের মাধ্যমে তথ্য যাচাই করা হয়। এ কাজে বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

শিক্ষকদের অভিযোগ, বোর্ডের কর্মকর্তারা টাকা ছাড়া প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি নবায়ন করেন না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি অনুমোদনেও বোর্ডের কর্মকর্তাদের টাকা দিতে হয়। শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন, ভর্তি বাতিল, নিবন্ধন, শ্রেণি ছাড়পত্র, দ্বি-নকল রেজিষ্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহের কাজ টাকা ছাড়া হয় না। নাম ও বয়স সংশোধনের ক্ষেত্রেও টাকা গুনতে হয় শিক্ষার্থীদের।

চট্টগ্রাম বোর্ডের সাবেক এক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, বোর্ডের চাকরি যেন সোনার হরিন। পৃথিবীর কোথাও এতো বোনাস নাই। বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সারা বছর যা বেতন পায় তার চেয়ে বেশি বোনাস পান। নিবন্ধন, ফরম পূরণ, পরীক্ষার প্রস্তুতি, পরীক্ষা, ফল প্রকাশের কাজে বোনাস দেওয়া হয়। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক গুদামে গেলেও ভাতা পান। বোর্ড নিজেরা আইন করে এসব সুবিধা নিচ্ছেন। এগুলো বাতিল হওয়া উচিত। বোর্ডে কেনাকাটায় সব চেয়ে বেশি দুর্নীতি হয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে কথা হলে শিক্ষাবিদ হাসিনা জাকারিয়া বেলা বলেন, বোর্ডে দুর্নীতির বিষয়টি নতুন নয়। অনেক দিন ধরেই এসব চলছে। এসব যাদের দেখার কথা তারা নিজেরাই দুর্নীতিতে লিপ্ত। তারপরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি বদলির বিষয়টি নিয়মতান্ত্রিক ভাবে করতে পারে তাহলে দুর্নীতি অনেক কমে যাবে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুস্তফা কামরুল আখতার বলেন, সবাইতো আর দুর্নীতি করছে না। যাদের বিরুদ্ধে তথ্য আসছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আর বদলির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের হাতে।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved
Design BY POPULAR HOST BD