নিজস্ব প্রতিবেদক-চট্টগ্রাম : সম্প্রতি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের এল এ শাখার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি অসত্য ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন জেলা প্রশাসকের উদ্ধতন কর্তৃপক্ষ।আলমগীর হোসেন নামের এক ব্যক্তির করা যে অভিযোগে ৪জন সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে অনিয়ম,দূর্নীতিও তাদের সাথে ৩০ জন দালালের সখ্যআচরণ ও জোটের কথা বলা হলেও সেটার কোন তথ্য প্রমান নাই বলে সাংবাদিকদের জানান ভুক্তভোগী সার্ভায়াররা।কোনরকম তথ্যসুত্র ছাড়া ও নাম সর্বস্বহীনভাবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহণ(এল এ) শাখার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াটভাবে বানানো অনিয়মের কথা উল্লেখ করে চার সার্ভেয়ার ও ত্রিশ দালালের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও ভূমি মন্ত্রীর দপ্তরে তা সম্পূর্ণ মিত্যা বলে দাবি করেন অভিযুক্ত ভুক্তভোগীরা।
এল এ শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা নাগরিক নিউজ বিডি কে বলেন, এইচএম আলমগীর হোসেনের করা অভিযোগটি ভিত্তিহীন। সে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে ও এল.এ শাখাকে বিতর্কিত করবার জন্য ভিত্তিহীনভাবে অভিযোগটি করেছেন । আর উদ্দেশ্য প্রণোদিত এসব তথ্য বা ঘটনা জনমনে আবেগের সঞ্চার করে এবং যুক্তিগ্রাহ্য চিন্তাভাবনা করতে বাধা দেয়। ফ্যাক্টচেক ছাড়া একতরফা এই ধরণের অভিযোগ সরকারী কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী সেবাদানে আমাদেরকে নিরুতসাহীত করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
এই দিকে ভুক্তভোগী অনেকেই অভিযোগ করে নাগরিক নিউজ বিডি কে বলেন, অভিযোগ দেওয়া এইচ. এম. আলমগীর নিজেই একজন দালাল চক্রের সদস্য। অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রমা চীফ মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট আদালতে মামলা রয়েছে যার সি.আর মামলা নং ১৮৭৯/২০২৩ (কোতোয়ালি)। মোঃ জমির উদ্দীন নামের অন্য এক ব্যক্তিও উক্ত অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট আদালতে (উত্তর) মামলা রয়েছে। যার মিস মামলা নং ৭৬৩/২০২৩ ইং।এইদিকে তদন্তকারী কর্মকর্তাগণের তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, বিষয়টি ভিত্তিহীন । অভিযোগের ফ্যাক্টচেক বা সত্যতা যাচাই ছাড়া মনগড়া অভিযোগ করাকে নীতি-নৈতিকতার বরখেলাপ করা হয়েছে বলে দাবী করেন অনেকেই ।
অভিযোগের বিষয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( ভূমি অধিগ্রহণ) মোঃ আবু রায়হান দোলন নাগরিক নিউজ বিডি কে বলেন, অভিযোগের বিষয়টি অসামঞ্জস্য মনে হচ্ছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিত, পক্ষপাতমুলক মনগড়া সেই ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে।
ভুক্তভোগী আবুল মোমেন নাগরিক নিউজ বিডি কে বলেন,আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী শিক্ষানবিশ আইনজীবী তার বিরুদ্ধে তো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সে সার্ভেয়ারদের বিরুদ্ধে সিএমএম আদালতে যে ফৌজদারি মামলার তা সম্পূর্ণ মিত্যা ও ভিত্তিহীন যার কোন সঠিক তথ্য নাই ও কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি আদালতে।
ভুক্তভোগী অনেকেই নাগরিক নিউজ বিডি কে বলেন, অফিসকে দালাল মুক্ত করার জন্য আজকে ২-৩ বছর ধরে দেয়ালে দেয়ালে বড় করে আইনি নটিশ দেয়া আছে,এল এ শাখার প্রত্যেক পয়েন্টে পয়েন্টে সি সি ক্যামেরা দেয়া আছে। সাধারণত সরকারী অফিসে কর্মচারীদের কাজের চাপ বেশি থাকে তাই অফিস তাদের অনুকূলে থাকাটাই স্বাভাবিক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন সেবাগ্রহিতা নাগরিক নিউজ বিডি কে বলেন, সার্ভেয়াররা আমাদেরকে ক্ষতিপূরণের চেকগ্রহণের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে খুবই আন্তরিক। জমিজমার জটিলতা না থাকলে আমরা খুব দ্রুত চেক পেয়ে যাচ্ছি। এই অফিসকে বহিরাগত ছদ্মবেশী দালালরাই জিম্মি করে রাখছে। দালাল সিন্ডিকেটের দৌরাত্ব কমছে না। আমারা বেশ কয়েকজনকেও চিনি যারা হচ্ছেন, এডভোকেট মোশাররফ, মিরসশরাইয়ের গোবিন্দ্র,বাঁশখালির রিফাত, মিরসশরাইয়ের টিটু, আনোয়ারার দালাল জুয়েল অন্যতম ।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অভিযোগকারী এইচএম আলমগীর হোসেনের মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি সংযোগ স্থাপন করেননি।