নগরীর বায়েজিদ লিংক রোড এলাকায় ৯০ ডিগ্রি খাড়াভাবে পাহাড় কেটে সড়ক নির্মাণ ও ঘর তৈরি করা হচ্ছিল। এই অপরাধে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তারা হলেন মো. আকবর হোসেন খোকন, জাফর আহামদ মজুমদার, মোহাম্মদ হাছান আহাম্মদ কন্ট্রাক্টর, মোহাম্মদ আয়ুব মিয়া, এস এম নুরুন্নবী, সৈয়দা মাসকুরা আক্তার, মোছা. জেবুন্নাহার খানম, মোছা. শাকিনা আক্তার চৌধুরী, মো. সোহরাব হোসেন, মো. ইলিয়াছ, মো. নাসির উদ্দিন, মো. ফরিদ মিয়া, আবুল মনসুর, মো. হামিদ, ডা. শামিমা আকতার ও মো. সোলাইমান। অপর একজনের নাম জানা যায়নি। গতকাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আকবরশাহ থানায় মামলাটি করা হয়।
এর আগে সকাল ১০টায় পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিকে সাথে নিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বায়েজিদ লিংক রোডের পার্শ্ববর্তী উত্তর পাহাড়তলী মৌজা এলাকায় পাহাড় কেটে রাস্তা ও ঘর বানানোর অভিযোগ পেয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করি।
তখন অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পাই। একপর্যায়ে তৈরি করা স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিই। পাশাপাশি জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে নির্দেশনা দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযানের সময় পাহাড় কাটার সাথে সম্পৃক্তরা পালিয়ে যায়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, লিংক রোডের পাশে প্রায় ৯০ ডিগ্রি খাড়াভাবে পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ করেছেন আকবর হোসেন খোকন নামে এক ব্যক্তি। রেকর্ড অনুযায়ী, উত্তর পাহাড়তলী মৌজার টিলা শ্রেণির ১৯৩ দাগের ৬৪১/১০ খতিয়ানটির মালিক বিবিরহাট এলাকার জাফর আহামদ মজুমদার ও মোহাম্মদ হাছান আহাম্মদ কন্ট্রাক্টর। বায়না মূলে মালিক হয়েছেন মো. আকবর হোসেন খোকন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এর আগে উক্ত জায়গায় পরিবেশ অধিদপ্তর ২ দফা পরিদর্শন করে গেলেও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেনি। আজকের (গতকাল) অভিযানে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ওসি আকবরশাহকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, লিংক রোডের পাশে দৃশ্যমান জায়গায় পাহাড় কেটে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণ করছে একটি চক্র। দ্রততার সাথে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। এক্ষেত্রে কারো ছাড় নেই। পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স। ইতোমধ্যে যারা পাহাড় কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলার মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।