চবি প্রতিনিধি :চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) সিন্ডিকেটে একাডেমিক কাউন্সিলের প্রতিনিধি নির্বাচন না দেওয়ায় একাডেমিক কাউন্সিলের সভা থেকে ওয়াকআউট করেছেন চবি শিক্ষক সমিতির চার শিক্ষক। ওয়াকআউট করা চার শিক্ষক হলেন—চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকি, সহসভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ আলা উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক ও সদস্য অধ্যাপক লায়লা খালেদা আঁখি।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্যের সম্মেলনকক্ষে একাডেমিক কাউন্সিলের ২৪৪ তম সভা শুরু হয়। সভা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে তারা সভাস্থল ত্যাগ করেন। চিঠিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে একাডেমিক কাউন্সিলের প্রতিনিধি নেই। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ২৪৩তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভার আগে আপনার এবং উপ-উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় শিক্ষক সমিতির অনুরোধ সত্ত্বেও ওই সভায় একাডেমিক কাউন্সিল টু সিন্ডিকেট নির্বাচন না দিয়ে, স্বল্পতম সময়ের মধ্যে পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিলে একাডেমিক কাউন্সিল টু সিন্ডিকেট নির্বাচন দেওয়ার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এ পর্যন্ত তা কার্যকর না হওয়ায় প্রতিবাদস্বরূপ আমরা আজকের একাডেমিক কাউন্সিল সভা থেকে ওয়াকআউট করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ‘সর্বশেষ একাডেমিক কাউন্সিল সভার আগে আমরা উপাচার্যের কাছে সিন্ডিকেটে একাডেমিক কাউন্সিল প্রতিনিধি নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। তখন উপাচার্য আশ্বাস দিয়েছিলেন পরের একাডেমিক কাউন্সিলে নির্বাচন দিবেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পর একাডেমিক কাউন্সিল সভা আয়োজন করলেও নির্বাচনের কোনো উদ্যোগ নেননি। এমনকি আজকের সভার শুরুতেই আমরা উপাচার্যকে আগামী একাডেমিক কাউন্সিল সভায় নির্বাচন দিবেন এই মর্মে ঘোষণা দিতে বলি। কিন্তু উপাচার্য জানান, তিনি এ ঘোষণা দিতে বাধ্য নন। তাই প্রতিবাদস্বরূপ আমরা একাডেমিক কাউন্সিলের সভা থেকে ওয়াকআউট করেছি।’
এ ব্যাপারে চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকি বলেন,দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন বিলম্বের কারণে আমরা এর আগেও দুবার উপাচার্যের কাছে এ বিষয়ে বলেছিলাম।কিন্তু তিনি এ নিয়মমাফিক নির্বাচনটি দিচ্ছেন না।এমনকি এ বিষয়ে তিনি আমাদের কোনো কমিটমেন্টও দিতে চান না।তাই আমরা একাডেমিক কাউন্সিল সভা থেকে স্বেচ্ছায় ওয়াকআউট করেছি।
